খানাবাদ কলেজ প্রভাষকের বসত ঘরে হামলা, ভাংচুর, লুটপাট ॥ নারীসহ আহত-০৫ ॥

 মোয়াজ্জেম হোসেন,পটুয়াখালী প্রতিনিধি, ০৫ অক্টোবর ২০১৮।।

জমিজমা সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে কলাপাড়ার কুয়াকাটা খানাবাদ কলেজের প্রভাষক, সাংবাদিক শহিদুল ইসলাম শাহিন ও তার স্ত্রী শিক্ষিকা শাহিনুর বেগমের ওপর দেশীয় অস্ত্র নিয়ে হামলা করেছে সন্ত্রাসীরা। বাড়িঘর দখলের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়ে ভাংচুর ও লুটপাট চালিয়ে নগত ১২ লক্ষ টাকাসহ জমিজমার দলিল পত্র লুট করে নিয়ে গেছে হামলাকারীরা। শুক্রবার শেষ বিকালের ঘটনায় পর্যটন নগরী কুয়াকাটায় আতংক ছড়িয়ে পরে। ঘটনার সময় মহিপুর থানা পুলিশকে অবহিত করা হলেও তাদের রহস্যজনক ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন ভুক্তভোগী পরিবারসহ এলাকাবাসী। প্রত্যক্ষদর্শীরা ও আহত শাহিনুর বেগম জানান, পটুয়াখালী জেলা পরিষদ সদস্য আসলাম হাওলাদারের উপস্থিতিতে মুকুলের নেতৃত্বে নাছির, নুরআলম, জাকারিয়া জাহিদসহ অর্ধশতাধিক সন্ত্রীরা দেশীয় অস্ত্র সস্ত্রে সজ্জিত হয়ে হামলা চালায়। এসময় ৩টি সিসি টিভি ক্যামেরা, মনিটরসহ বসত ঘরের আসবাবপত্রে ব্যাপক ভাংচুর চালানো হয়। সন্ত্রাসীদের হামলায় গুরুতর আহত শহিদুল ইসলাম শাহীন, তার স্ত্রী শাহিনুর বেগম, বড় ভাই মিলন, বাড়ির কেয়ারটেকার ও ভাড়াটিয়াসহ ৫জন আহত হয়। আহতদের মধ্যে গুরুতর অবস্থায় প্রভাষক শহিদুল ইসলাম শাহীনকে কুয়াকাটা হাসপাতালে নেয়া হয়। হাসপাতালের কর্তব্যরত চিকিৎসক মনিরুজ্জামান তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে উন্নত চিকিৎসার জন্য বরিশাল সেবাচিম হাসপাতালে প্রেরণ করেছেন। আহত প্রভাষক শহিদুল ইসলাম শাহীন সাংবাদিকদের জানান, মুকুল নামে এক ব্যক্তির সাথে ব্যবসায়িক সূত্রে জমিজমা নিয়ে বিরোধ চলে আসছে। বিরোধীয় জমি তার দাবি করে মুকুল আদালতে মামলা করে। মামলায় আদালত আমার পক্ষে রায় দেন। এরপর মুকুল বিভিন্ন সময় হুমকি দিয়ে আসছিলো। এর আগেও একাধিকবার বাড়ি ঘর দখলের চেষ্টা চালিয়ে ব্যর্থ হয়েছে। তিনি আরও জানান, হামলার খবর শুনে কুয়াকাটা প্রেসক্লাবের সভাপতি এ.এম. মিজানুর রহমান বুলেট ও কুয়াকাটা পৌর যুবলীগের আহ্বায়ক শেখ ইসাহাক আলী উপস্থিত হয়ে আমাকে রক্ষা করেন। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে পটুয়াখালী জেলা পরিষদ সদস্য আসলাম হাওলাদার মুঠোফোনে বলেন, মুকুল ও শাহিনের মধ্যে জমি নিয়ে বিরোধ চলছে। আমরা সেখানে বিষয়টি নিয়ে আলোচনার জন্য গেলে বাকবিতন্ডা হয়। তিনি হামলা ভাংচুর ও মারধরের কথা অস্বীকার করেন। এ বিষয়ে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টায় মহিপুর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি তদন্ত) মাহবুব আলম জানান, খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে উপস্থিত হয়েছি। আহত প্রভাষক শহিদুল ইসলাম শাহীন গুরুতর আহত হয়ে চিকিৎসাধিন অবস্থায় রয়েছেন। আইনী প্রক্রিয়া চলছে।

আপনি আরও পড়তে পারেন

Leave a Comment